অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রভাবকসমূহ

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ই-মার্কেটিং - ই-মার্কেটের সম্ভাব্যতা ও সম্ভাবনা | | NCTB BOOK
12
12

বাজার মূলত অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কতিপয় উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। যেসব উপাদান দ্বারা বাজার প্রভাবিত হয় তাকেই বাজারের প্রভাবক বলে ।

বাজারের সাথে সম্পৃক্ত উপাদানসমূহ একটি দেশের অর্থনীতি, ইন্ডাস্ট্রি এবং কোম্পানির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। তাই বলা হয়েছে “Market Influencers are the broad factors that affect the economy, industry, and companies as a whole,"

নিচে ই-মার্কেটের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রভাবকসমূহ আলোচনা করা হলো-

১. সরকার (Goverment) : একটি দেশের সরকার ফ্রি মার্কেট বা মুক্ত বাজারের ওপর অনেক প্রভাব বিস্তার করে। অর্থাৎ সরকার এবং তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বিভিন্ন আর্থিক নীতিমালা তৈরি করে বাজারে প্রভাব বিস্তার করে। সরকার ট্যাক্স বাড়িয়ে বা কমিয়ে, সুদের হার পরিবর্তন করে এবং খোলা বাজারে ডলারের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করে বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে।

২. আন্তর্জাতিক লেনদেন (International transaction : ই-মার্কেট মানেই দেশ ও দেশের বাহিরের লেনদেন। এক্ষেত্রে কতিপয় সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। ফান্ড বা তহবিলের প্রবাহ যেকোনো দেশের অর্থনীতি এবং এর মুদ্রার শক্তিকে প্রভাবিত করে। একটি দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা চলে যাওয়া (আন্তর্জাতিক লেনদেন) মানেই হলো সে দেশের অর্থনীতি ও মুদ্রা দুর্বল হয়ে পড়বে।

৩. চাহিদা এবং সরবরাহ (Demand and supply) : ই-মার্কেটের অন্যতম প্রভাবক হলো চাহিদা ও সরবরাহ। পণ্য, সেবা, মুদ্রা বা বিনিয়োগের চাহিদা ও সরবরাহকে গতিশীল করে। বাজারে পণ্যের চাহিদা কেমন, কী পরিমাণ সরবরাহ করতে হবে তা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

৪. রাজনৈতিক প্রভাব (Political influence): যেকোনো দেশের সরকারের পলিসি এবং সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উপাদান বা প্রভাবক হিসেবে বিবেচিত। ই-মার্কেটের ক্ষেত্রে সব দেশের রাজনৈতিক প্রভাব একরকম নয়। কোনো কোনো দেশের সরকার এত চমৎকার পলিসি করেছে যে, ক্রেতারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই পণ্য ক্রয় করতে পারে। আমাদের দেশের সরকার এ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে।

৫. অর্থনৈতিক প্রভাবক (Economic influence) : ই-মার্কেটের লেনদেনের ক্ষেত্রে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাচিত নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হয়। এর মধ্যে সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, অর্থনেতিক কার্যকলাপ, লেনদেনের ভারসাম্য ইত্যাদি অন্যতম।

৬. সামাজিক প্রভাবক (Social influence) : বিশ্বের সব দেশের সামাজিক অবস্থা একরকম নয়। সে হিসেবে ই-মার্কেটের ধরনও একরকম নয়। সকল মানুষ বা ক্রেতার জীবন-ধাঁচ, ক্রয় ক্ষমতা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান একরকম নয়। তাই ই-মার্কেটে সামাজিক প্রভাব লক্ষ করা যায়।

৭. প্রযুক্তিগত প্রভাব (Technological influence) : ই-মার্কেটের ক্ষেত্রে একটি কোম্পানির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। গবেষণা কার্যক্রম এবং উন্নয়নের অগ্রগতি প্রযুক্তির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।

৮. পরিবেশগত প্রভাবক (Environmental influence ) : ই-মার্কেটের অন্যতম প্রভাবক হলো পরিবেশগত উপাদান। বিশ্বের সব দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক সম্পদ একরকম নয়। পরিবেশগত এসব উপাদানগুলো ই-মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করে।

Content added By
Promotion